বছরের শুরু থেকেই সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে করোনা পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে আরও ১৬০ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসটি। এদিন নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা সংক্রমণের হার ৩৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা গত আট মাসের সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে।
রাজশাহীর ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুইটি ল্যাবে ৪২৫ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ৮৮ জনের শরীরে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ধরা পড়ে ৭২ জনের শরীরে। আগের দিন বুধবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে জানা যায়। এদিন নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার জেলার দুইটি ল্যাবে ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিন নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। সোমবার জেলার দুইটি ল্যাবে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৬২ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
রোববার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৭৭ জনের। করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনিবার জেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ২২৮ জনের। এর মধ্যে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২২ জনের। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সপ্তাহ না পেড়োতেই শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন দফতরের তথ্যমতে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জেলায় ৯৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ৭৫ জনের। করোনা শনাক্তের শতকরা হার ছিলো ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে অন্তত ২ শতাংশ। ৮ থেকে ১৪ জানুয়ারি জেলায় ১ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন দফতর আরও জানায়, ১ জানুয়ারি জেলায় ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা ধরা পড়ে। করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। পরদিন এক লাফেই শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে। এরপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে শনাক্তের হার।
গত ৭ জানুয়ারি শনাক্তের হার নেমে আসে ২ শতাংশের নিচে। সেদিন নমুনা কম পরীক্ষা হওয়ায় শনাক্তের হারও কমে যায়। ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারি ৫ দিনের চারদিনই করোনা শনাক্তের হার ছিল ১২ শতাংশের আশপাশে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়।