গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই চালের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না। এছাড়াও খাদ্য সংকট নিয়ে দেশের মানুষকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।
রবিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয় নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাওরের কৃষকদের কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই ধান কেনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দিতে ও দামের ব্যালেন্স করার জন্য সরকারী ভাবে ধান কেনা হচ্ছে। কৃষকরা সম্মানের সাথে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারেব। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতার একটি ছাইলো তৈরী করা হবে। যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান শুকানো ও প্রক্রিয়াকরণসহ গোদামজাত করতে পারে। এছাড়াও হাওর এলাকার কথা চিন্তা করে ২শত পেডিছাইলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ধান সংগ্রহ নিয়ে যদি কোনো কৃষক হয়রানীর শিকার হয়, এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে কেউ রক্ষা পাবে না। সে যেই হোক না কেন। কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই সবাইকে খুব সর্তক ভাবে কাজ করতে হবে। কৃষকদেরকে কষ্ঠ দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন- কৃষি দপ্তর উৎপাদন ১২ লাখ মেট্রিকটনের যে হিসেব দিয়েছেন তা ধানের রেশিওর সাথে চালের পরিমান ঠিক আছে কিনা তা বুঝতে হবে। তা না হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গরমিল তৈরী হবে। এবং হঠাৎ কোনো বিপর্যয় তৈরী হলে সামলানো যাবে না। এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া মিল মালিকদেরকে সহনশীল হতে হবে। যাতে করে সিন্ডিকেট তৈরী করে ধানের দাম কমানো না হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম, সিলেট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইনুদ্দিন, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসীম চন্ত্র বণিক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-আমিন, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দেওয়ান তানভীর আশরাফি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।