তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেয়া গ্লোবাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার ভারতে গ্রেফতার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 16-05-2022

তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেয়া গ্লোবাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার ভারতে গ্রেফতার

বাংলাদেশে আর্থিক তছরুপকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন। এরপরেই কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে। ওপার বাংলা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে আসা এই পিকে ধরা পড়ার পর ওপার বাংলাতেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তাঁকে কি বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে? উঠছিল প্রশ্ন। এবার রবিবার এই নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি এদিন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সেমিনারে যোগ দিয়ে বলেন, "ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেকদিন ধকেই প্রশান্ত কুমার হালদারের খোঁজ চালানো হচ্ছিল। জেনেছি সে গ্রেফতার হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ভারত এখনও আমাদের জানায়নি।

এই বিষয়ে ভারত আমাদের জানালেই ওকে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অন্যদিকে, ওপার বাংলার বিদেশ মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "এই বিষয়ে আমরা এখনও কিছু জানিনা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আমাদের যে নির্দেশ দেওয়া হবে তারই প্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ করব।"

উল্লেখ্য, প্রশান্ত কুমার হালদার ওপার বাংলা থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অশোকনগরে। সূত্রে খবর, "পিকে ভারতে এসে শিবশঙ্কর হালদার নামে থাকছিল। কাছে ছিল পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড, ভারতের ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ডও।" এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে দুই বাংলাতেই।

জানা গিয়েছে, পি কে হালদারকে জেরা করা হচ্ছে। পি কে হালদার ভারতে শিবশঙ্কর হালদার নামে বসবাস করছিলেন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুর্নীতি দমন কমিশন ভারত সরকারের কাছে এই পিকে-কে খুঁজে বার করার জন্য আবেদন করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অশোকনগরে মাছ বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত সুকুমার মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনায় সুকুমারের ভূমিকা ঠিক কী? তাঁর সঙ্গে পিকের ঠিক কী সম্পর্ক ছিল? সেই যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

সূত্র: এই সময়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]