যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে মুদি দোকানে (গ্রোসারি শপ) বন্দুক হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিচারকের কাছে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। নিউ ইয়র্কের কনক্লিনের ১৮ বছর বয়সী পেটন গেন্ড্রন নামের শ্বেতাঙ্গ যুবক স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সাদা কাগজের গাউন এবং মুখোশ পরে টপস্ নামের একটি মুদি দোকানে (গ্রোসারি) ঢুকে এলোপাতারি বন্দুক হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেন। এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সন্ধ্যায় বাফেলো সিটি কোর্টে নেওয়া হলে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে রাখেন। গেন্ড্রন নিষ্ঠুর ছিলেন জানার পরও কারণ তার আদালতে নিযুক্ত আইনজীবী তার পক্ষে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে নির্দোষ দাবি করেন।
তাকে জামিন ছাড়াই রিমান্ডে নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পেটন অসুস্থ। বন্দুক হামলা চালানোর জন্য বিংহামটন-এ তার বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মাইল গাড়ি চালিয়েছিলেন এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এবং কৌশলগত গিয়ার পরেছিলেন।
এরি কাউন্টি শেরিফ জন গার্সিয়া একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
সুপার মার্কেট পার্কিং লটে শুটিং শুরু হয় এবং বাফেলো পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার আগে স্টোরে চলতে থাকে।
'এটা ছিল খুবই খারাপ পরিস্থিতি। এটি ছিল আমাদের সম্প্রদায়ের ভালো প্রতিবেশীদের শহরের বাইরের কারো কাছ থেকে সরাসরি জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত ঘৃণামূলক অপরাধ'। আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এসে আমাদের উপর সেই মন্দ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশেষ এজেন্ট স্টিফেন বেলঙ্গিয়া বলেন, এফবিআই ঘটনাটিকে 'একটি ঘৃণামূলক অপরাধ এবং জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার মামলা হিসাবে তদন্ত করছে'।
বাফেলো পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বাফেলোর ইস্টসাইডে জেফারসন অ্যাভিনিউতে টপস মার্কেটে জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত পেটন গেন্ড্রন এলোপাতারি বন্দুক হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেন।
প্রথমে পার্কিং লটে থাকা চার জনের ওপর গুলি চালায়। তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এরপর সে টপস্ সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে। সেখানে সিকিউরিট গার্ডের সাথে গুলি বিনিময় হয়। সিকিউরিটি গার্ডকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারী। এরপর শপিং করতে থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালাতে থাকে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সে নিজের গলায় বন্ধুক ধরে আত্মহত্যার ভঙ্গী করে। পুলিশ তাকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।