মাগুরা জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ মে) বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। এ সময় পুলিশ তার মাইক্রফোন কেড়ে নিলে দলীয় নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে চেয়ার ছুড়ে পুলিশকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পুলিশের লাঠিচার্জে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের ভায়নার মোড় এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ গিয়ে সেখানে পেছন থেকে লাঠিচার্জ করে। পরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম এবং সদস্য রাকিব, লুৎফার ও মামুনকে আটক করে পুলিশ।
সংঘর্ষে জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান কল্লোল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম রানা, শালিখা ছাত্রদলের ফিরোজ মৃধা, খাইরুল ইসলাম, সজিব পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ। গুরুতর আহত যুবদলের সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সমাবেশস্থল ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শনিবার দেশব্যাপী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও মাগুরায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থাকায় মাগুরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ একদিন পেছানো হয়। আজ নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শুরু হলে আমি বক্তব্য দেওয়া শুরু করি। ঠিক তখনই পুলিশ মাইক বন্ধ করে দিয়ে লাঠিচার্জ করে।
তবে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন। তিনি চারজনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন।
রাজশাহীর সময়/এ