চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া এলাকা থেকে কুখ্যাত ও র্দুর্র্ধষ জলদস্যু আজিজ বাহিনীর প্রধান ডাকাত আজিজ, কালু বাহিনীর প্রধান গুরা কালু এবং সাহাব উদ্দিন বাহিনীর প্রধান ডাকাত সাহাবসহ ৮জন জলদস্যুকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় লুন্ঠিত জাল ও ১ টি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ মে) ও (১৪ মে) বাঁশখালী, পেকুয়া, ও কুতুবদিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের স্থল ও সাগর পথে অবিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ছৈনাম্মার ঘোনা গ্রামের মৃত আনছার উল করিমের ছেলে জিয়াবুল হক জিকু (৫০), একই জেলার কুতুবদিয়া থানার পূর্ব তাবলর গ্রামের মৃত ছদর আহাম্মদের ছেলে ছলিম উল্লাহ প্রকাশ বাবুল (৫৫) একই থানার রামপুর গ্রামের মৃত বখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৯) মাইজঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুছ ছালামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮) দক্ষিন ধুরুং গ্রামের শাহআলমের ছেলে নুরুল বশর (৩২) পূর্ব তাবলরচর গ্রামের ইবনে আমিন প্রকাশ ইন্নমিনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৪৭) পকুয়া থানার করিয়ারদিয়া গ্রামের মৃত আনসার উল করিমের ছেলে মোঃ আজিজুল হক অংক (৪৬), পেয়ারাকাটা গ্রাামের নুর হোসেনের ছেলে মোঃ কালু প্রকাশ গুরা কালু (৪০)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭, চট্রগ্রামের সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার।
তিনি জানান, কিছুদিন যাবৎ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ আসছিলো যে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু বাহিনী কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলো। সম্প্রতি তারা আবার পূর্বের ন্যায় সকল অপকর্ম এবং উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ লবনচাষী ও সাগরে জেলেদের উপর অত্যাচার, জুলুম, চাঁদাবাজি এবং অপহরণসহ সকল প্রকার অন্যায় কাজ পরিচালনা করছে। ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অত্যান্ত মানবিকতায় সহিত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রাখে।
এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৩ মে) থেকে শনিবার (১৪ মে) বাঁশখালী, পেকুয়া, ও কুতুবদিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের স্থল ও সাগর পথে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি দুনলা বন্দুক, ৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং ৫টি দেশীও ধাড়ালো ছুরা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৮/১০টি করে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।