সুনাম-সুখ্যাতির জন্য মুমিনের দোয়া


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 11-05-2022

সুনাম-সুখ্যাতির জন্য মুমিনের দোয়া

মুমিন বান্দা দুনিয়াতে আল্লাহর জন্য এমন অনেক কাজ করে; যে কাজের জন্য মানুষ ওই বান্দাকে যুগের পর যুগ স্মরণ করবে। তার সুনাম-সুখ্যাতি প্রচার করবে। যা শুনে অন্যরা ভালো কাজের অনুপ্রেরণা পাবে। যার অনন্য নিদর্শন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম।

তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে এমন অনেক কাজ করেছেন; যার বিনিময়ে মুসলিম উম্মাহ তাঁকে স্মরণ করে। তার সুনাম-সুখ্যাতি প্রচার করছে। তিনি আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে অনেক দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা দোয়াগুলো কোরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন। যেন দোয়াগুলোর মাধ্যমে সব মুমিন আল্লাহর কাছে নিজেদের দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে প্রার্থনা করতে পারেন। এর মধ্যে সুনাম-সুখ্যাতির দোয়াও আছে। তাহলা-

১. رَبِّ هَبۡ لِیۡ حُکۡمًا وَّ اَلۡحِقۡنِیۡ بِالصّٰلِحِیۡنَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি হাবলি হুকমাও ওয়া আলহিক্বনি বিস-সালিহিন।’

অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে সুগভীর জ্ঞান দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সঙ্গে শামিল করুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ৮৩)

২. وَ اجۡعَلۡ لِّیۡ لِسَانَ صِدۡقٍ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ

উচ্চারণ : ‘ওয়াঝআললি লিসানা সিদকিং ফিল আখিরিন।’

অর্থ : ‘আর পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ৮৪)

আমার (হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের) পর কেয়ামত পর্যন্ত যারা পৃথিবীতে আসবে, তারা আমাকে উৎকৃষ্ট ভাষায় স্মরণ করবে। এখান থেকে বুঝা গেল যে, দুনিয়াতে মহান আল্লাহ নেকির বিনিময় প্রশংসা, সুনাম ও সুখ্যাতির মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে প্রত্যেক জাতিই ভালো নামে স্মরণ করে থাকে। কেউ তার মহানুভবতা ও মর্যাদাকে অস্বীকার করে না।

আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে এমন সুন্দর তরিকা ও উত্তম নিদর্শন দান করেছেন, যা কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতি অনুসরণ করবে এবং তাকে উৎকৃষ্ট আলোচনা ও উত্তম গুণাবলী দ্বারা স্মরণ করবে। (ফাতহুল কাদির, বাগভি, কুরতুবি)

৩. وَ اجۡعَلۡنِیۡ مِنۡ وَّرَثَۃِ جَنَّۃِ النَّعِیۡمِ

উচ্চারণ : ‘ওয়াঝআলনি মিও-ওয়ারাছাতি ঝান্নাতিন নাঈম।’

অর্থ : ‘আর আপনি আমাকে সুখময় (নাঈম) জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ৮৫)

৪. وَ اغۡفِرۡ لِاَبِیۡۤ

উচ্চারণ : ‘ওয়াগফির লিআবি’

অর্থ : ‘আর আমার বাবাকে ক্ষমা করুন’ (সুরা শুআরা : আয়াত ৮৬)

৫. وَ لَا تُخۡزِنِیۡ یَوۡمَ یُبۡعَثُوۡنَ

উচ্চারণ : ‘ওয়া লা তুখযিনি ইয়াওমা ইউবআছুন।’

অর্থ : ‘আর যেদিন পুনরায় উঠানো হবে; সেদিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ৮৭)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের অনুসরণ ও অনুকরণে মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের দুনিয়া এবং পরকালের কল্যাণে এ দোয়াগুলো বেশি বিশ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য উল্লেখিত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]