ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় প্রতিবেশীর মারধরে আসমানী খাতুন (৪০) নামের আহত এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত গত রোববার (৮ মে) দুপুরে চাঁদপুর ইউনিয়নের বেড়বিন্নী গ্রামে শিশুদের খেলা করা নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বামী আমজাদ হোসেন জানান, বাচ্চাদের খেলা করা নিয়ে গত রোববার দুপুরে গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে আসমানীর ঝগড়া হয়। বিকেলে আসমানী খাতুন বাড়ির পাশে খালে হাঁস আনতে গেলে সুমাইয়া ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
এতে আসমানী গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় আসমানীকে।
এরপর মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছে প্রতিবেশী সুমাইয়া ও তার স্বজনরা।
নিহতের ভাই কাদের হোসেন বলেন, আমার নিরীহ বোনটাকে ওরা পিটিয়ে আহত করেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার খবর শুনেই যারা মারধর করেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আমরা এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, আসমানী খাতুন মারা যাওয়ার পর যারা মারধরের সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে গেছে। তারা যদি মারধরই না করত তাহলে পালাত কেন? তারপরও আমি দাবি করব এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ ফরিদপুর থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।