বিলোগোরিভকা গ্রামে একটি স্কুলবাড়িতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর একসঙ্গে এতজন মানুষ এই প্রথম মারা গেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলিনস্কি।
এরই মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় উৎসব পালন করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই উপলক্ষে তিনি বিশ্বের সামনে রাশিয়ার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবেন। রেড স্কোয়ারে ভিকট্রি প্যারেডের সময় দেখানো হবে বিশাল আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলি। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলি উড়বে ‘জেড ফর্মেশনে’। অর্থাৎ আকাশে তাদের দেখতে লাগবে জেড-এর মতো।
বরাবরই ৯ মে বিজয় দিবস পালন করে রাশিয়া। কিন্তু এবারের উৎসবে বেশি জাঁকজমক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ পুতিন বিজয় দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করতে চাইবেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে গিয়ে তিনি সঠিক কাজ করেছেন। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুতিন ইতিমধ্যে বলেছেন, “১৯৪৫ সালে আমাদের দেশকে নাৎসিদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য সৈনিকরা লড়াই করেছিলেন। আজও তাঁদের উত্তরসুরীরা নাৎসি জঞ্জাল থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য লড়ছেন। আমরাই শেষ অবধি জিতব।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলিনস্কিও এদিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক দশক পরে ইউক্রেনে ফের অন্ধকার নেমে এসেছে। স্কুলে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ীরা একটা নীতির জন্য লড়াই করেছিল। রাশিয়া সেই নীতির কথা ভুলে গিয়েছে।