রমজান মাস ছিল রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। রোজাদারকে পরিপূর্ণ রহমত ও নাজাত দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ মাসব্যাপী রহমতের দরজা খুলে রেখেছেন, জাহান্নামের দরজা বন্ধ রেখেছেন, শয়তানকে বন্দী করে রেখেছেন। রমজানের পরও আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের এ ধারা অবিরাম পেতে তার কাছে ছোট্ট দুইটি দোয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কী সেই আবেদন?
১. রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের আশায় রমজানের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত ছিলেন রোজাদার মুমিন মুসলমান। রমজানের পরও বাকি ১১ মাস যেন আল্লাহর রহমত ও তার হেদায়েত লাভে ধন্য হন মুমিন, সে জন্য কোরআনুল কারিমে উঠে এসেছে অনেক দোয়া ও আবেদন। তন্মধ্যে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ আবেদন তুলে ধরা হলো-
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারণ : রাব্বানা লা তুযেগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা; ওয়া হাবলানা মিল্লা দুংকা রাহমাহ; ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্হাব।' (সুরা আল-ইমরান : ৮)
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! (হেদায়েতের) সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনের দিকে পরিচালিত করো না। আর তোমার কাছ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান কর। নিশ্চয় তুমিই সব কিছুর দাতা।'
২. আল্লাহর আজাব ও অখুশী থেকে বাঁচার জন্য মুমিন বান্দা সব সময় ছোট্ট এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন-
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।'
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।' (সুরা দুখান : আয়াত ১২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের অর্জিত রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের ধারা অব্যাহত রাখতে নামাজ-নফল রোজা ও ইবাদত-বন্দেগির সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর শেখানো দোয়া দুইটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/এইচ