ক’য়েকমাস পরেই বিয়ে হওয়ার কথা, দুই পরিবারের সম্মতিতে পাকা কথা হয়ে গেছে গত অক্টোবরেই। আসন্ন অনুষ্ঠানের আনন্দের কথা ভেবে মশগুল ছিল ছিল দুই পরিবার। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন! বিয়ে তো ভেস্তে গেলই, এমনকি সোজা শ্রীঘরে ঠাঁই হলো পাত্রের!
গ্রেফতার করেছেন পাত্রী স্বয়ং! আসলে মিথ্যে পরিচয় দিয়েছিল পাত্র। এবং চতুর পাত্রের মিথ্যের নিটোল বুনুনিতে সম্পর্ক গড়িয়ে যাচ্ছিল ছাদনাতলা পর্যন্ত। কিন্তু যেহেতু পাত্রী পুলিশ! তাই তাঁর চোখে সহজেই ধুলো দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াল কীর্তিমান হবু বরের। আর সত্যিটা ফাঁস হতেই হবু বরকে গ্রেফতার করে বসলেন সাব ইন্সপেক্টর পাত্রী।
অসমের নওগাঁওয়ের ঘটনা। সেখানকার শিবসাগর জেলের সাব ইন্সপেক্টর জোনমণি বাভা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাণা পগাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে। এই রাণা নিজেকে ওএনজিসি-র জনসংযোগ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।
আলাপের পর প্রেম ভালই এগোতে থাকে। ‘ভাল’ পাত্র দেখে বিয়েতেও আপত্তি করেননি জোনমণির বাবা-মা। গত অক্টোবরেই পাকা কথা হয়ে যায়। ঠিক হয়, চলতি বছরের নভেম্বরেই চার হাত এক হবে।
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই জোনমণি জানতে পারেন যে, হবু বর তাঁকে মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে। সে আধিকারিক নয়। তার পেশা লোক ঠকানো। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা।
এরপরই জোনমণি ভেঙে দেন তাঁর বিয়ে। সেইসঙ্গে জালিয়াতির জন্য হবু বরকে গ্রেফতার করেন তিনি নিজেই।
রাজশাহীর সময় / জি আর