রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১১ মামলার আসামি সাইদুর রহমানের (৩৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত সাইদুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে পুঠিয়া থানায় ৬টি ও অন্যান্য থানা মিলিয়ে মোট ১১টি মামলা রয়েছে।
সে উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের চিতলপুকুরিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। গত শনিবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে তার নিজ ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মৃত সাইদুরের স্ত্রী রওশন আরা জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান তার স্বামী। গরমের কারণে তিনি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘরের বাইরে বারান্দায় ঘুমান। ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য উঠে দেখেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। পরে চিৎকার ও কান্না-কাটির শব্দে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, সাইদুর তেমন কাজকর্ম করতো না। গত কয়েকদিন আগেও জেল থেকে বের হয়েছে। তার নামে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। ঈদের পরে তার এক মামলায় ১০ বছরের মতো জেল হতে পারে বলেও শুনেছি তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। এ নিয়েই হয়তো মানসিক চাপে ছিলো। আর এই চাপ থেকেই সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি।
পুঠিয়া থানার ওসি বলেন, কী কারণে সাইদুর আত্মহত্যা করেছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তার লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি (ইউডি) অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর