জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনজুড়ে ব্যাপক প্রভার পড়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় আছড়ে পড়েছে সুন্দরবনে। আগামীতেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছে। সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশ্বব্যাঙ্কের উপমহাদেশীয় দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখল এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার সঙ্গে বৈঠক করল।
শনিবার বিশ্বব্যাঙ্কের উপমহাদেশীয় ডিরেক্টর সিসিও ফুইমেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল সাগরে আসেন। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সাগরতটের ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেন। এরপর যান মায়াগোয়ালিনীঘাট এলাকায়। পরে সুন্দরবনের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে ভাঙন রোধ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়।
বিশ্বব্যাঙ্কের ডিরেক্টর জানান, বাংলাদেশ ও ভারতে অবস্থিত সুন্দরবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আমেরিকার সংস্থা গবেষণা করছে। সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য কী কী প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলি গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসবে।
মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ''কয়েকবছর আগে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। পরে আজ আবার বৈঠক হল। আমি কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। পুরো বিষয়টি ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর স্থির হবে।''
রাজশাহীর সময় / এম আর