প্রতি বছরের মতো এবারো ঈদ আনন্দে দর্শকদের সঙ্গী হতে আসছে জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এ বছর ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে মিরপুর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ স্থানজুড়ে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক সেট।
বরাবরের মতো এবারো ইত্যাদি শুরু হবে-‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই গানটি দিয়ে। নানা শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় এবারে নৃত্যে-ছন্দে-আনন্দে চিরচেনা এই গানটি পরিবেশন করবেন করোনাযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে বিশেষ ক’জন কণ্ঠশিল্পী, যারা চিকিৎসার পাশাপাশি সংগীতচর্চাও করে থাকেন। তাদের সঙ্গে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন দুই শতাধিক সেবিকা।
এবারের ইত্যাদিতে দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ ৫ সংগীত তারকা। তারা হলেন- রবি চৌধুরী, শুভ্রদেব, এস আই টুটুল ও বাপ্পা মজুমদার।
পারিবারিক বন্ধন নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেছেন নৃত্যজুটি শিবলী-নিপা ও তাদের দল। নৃত্যটিতে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন অভিনয়শিল্পী দিলারা জামান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও আবুল হায়াত। ঈদ ইত্যাদির নানান চমকের একটি হচ্ছে দস্যু চরিত্রের ৪ তারকার সংলাপ। আর কাল্পনিক এই দস্যু চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় চারজন অভিনয় তারকা-শহীদুজ্জামান সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, মীর সাব্বির ও তানিয়া আহমেদ।
এবারের ঈদ ইত্যাদিতে সুরে সুরে গানের গল্পে ফেরদৌস তারিনের অভিনয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে এক দম্পতির তিন সময়ের ঈদের কথা। একটি ভিন্নধর্মী গান গেয়েছেন অভিনয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। সমাজের নানান অনিয়ম-অসঙ্গতির ওপরে তৈরি করা হয়েছে এবারের দলীয় সংগীত। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি।
প্রতিবারই ইত্যাদির দর্শক নির্বাচন প্রক্রিয়া থাকে ভিন্ন রকম। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যতিক্রমী উপকরণের মাধ্যমে নির্বাচিত ৬ জন দর্শকের মুখোমুখি হয়েছেন অভিনয় তারকা অপূর্ব ও পূর্ণিমা। থাকছে গ্রিস প্রবাসী ক’জন কৃষিকর্মীর প্রবাসের ঈদের অনুভূতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন। এ ছাড়া ঈদকে ঘিরে ডজনখানেক বিদ্রূপাত্মক রসাল নাট্যাংশ রয়েছে এবারের পর্বে।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ঈদের বিশেষ ইত্যাদি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।