নওগাঁর সাপাহারে কালবৈশাখী ঝড়ে আম ঝড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ন’টায় কালবৈশাখী ঝড় হানা দেয় সাপাহার উপজেলা সহ পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে। যার প্রভাব পড়ে এই উপজেলার আম বাগান গুলোতে। শিলা বৃষ্টি ও কাল বৈশাখী ঝড়ে আম ঝরে পড়ে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমচাষীদের। যার ফলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় আমচাষীরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে জানা যায়, গাছ থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাটিতে পড়ে আছে আম। স্থানীয় আমচাষীরা বলছেন, বেশ কিছুদিন অনাবৃষ্টির কারনে এমনিতেই আম ঝরে পড়েছে। এবার কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে বাগানের ল্যাংড়া ও আম্রপালী জাতের আম ঝরে গিয়েছে। যাতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা হতে পারে বলে ধারণা করছেন আমচাষীরা। চাষীরা বলছেন বাগান থেকে প্রায় ২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছেন, এই উপজেলার ৬ ইউনিয়নে প্রায় ৫শতাংশ আম ঝরে গেছে। যা প্রাকৃতিক ভাবেও ঝরে যেতে পারতো।
স্থানীয় আমচাষী মাহফিজুর রহমান বলেন “ আমার এক একর জমিতে অবস্থিত আ¤্রপালী বাগান। গত রাতের ঝড়ে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ আম ঝরে গেছে। ঝরে যাওয়া আমগুলো সব বড়ো সাইজের। এখন পর্যন্ত পড়ে যাওয়া আমের পরিমাণ প্রায় ১২ মণ। যাতে করে অনেকটাই লোকসান হতে পারে”।
উপজেলার উমইল গ্রামের আমচাষী শামসুল হক বলেন, “আমার দুই বিঘা জমির আ¤্রপালি ও ল্যাংড়া জাতের আম প্রায় ৫০ শতাংশ ঝরে গেছে। যাতে করে মাথায় হাত পড়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই চরম খরায় আম তো ঝরেছে অপরদিকে কালবৈশাখীর করাল থাবায় আমি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ”।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন,বেশ কিছুদিন তীব্র খরা হবার ফলে আমের বোঁটাগুলো নিস্তেজ হয়ে ছিলো। ঝড় না হলেও কিছুদিন পরে আম ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। সবমিলিয়ে ঝড়ে প্রায় ৫শতাংশ আম ঝরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরে এই উপজেলায় আমের চাষ হয়েছে প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে।
তবে হতাশা কাটিয়ে আবারো সকল প্রতিকূলতা ছাড়িয়ে এবারেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও আম রপ্তানি করা যেতে পারে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন আমচাষীরা।
রাজশাহীর সময় / জি আর