সচেতন না হলে সাধারণ হজমের গোলমাল থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এ ধরনের অসুখ ব্যাকটিরিয়া ঘটিত। ই-কোলাই, এরোমোনাস, ইয়ারসিনিয়া ইত্যাদি অপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণে এই ধরনের অসুখ হয়।
বদ হজম এড়াতে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি নজর রাখতে হবে আরো কিছু বিষয়ে। চলুন জেনে নেই-
জল ফুটিয়ে খান। জলবাহিত অসুখ থেকে দূরে থাকতে এটি সবচেয়ে কার্যকর। কম সিদ্ধ মাংস এড়িয়ে চলুন। ভাপিয়ে খাওয়ার মেনু- যেমন মাছের নানা ভাপানো পদ এসময় না খাওয়াই ভালো । মাছ কেনার সময় তাই সতর্ক থাকুন যেন মাছের গায়ে কোনোরকম ঘা না থাকে। সরাসরি কাঁচা মাছ দিয়ে যা যা রান্না হয়, তা এড়িয়ে অল্প তেলে মাছ নাড়াচাড়া করে তবেই রান্না করুন।
ব্যাগে স্যানিটারি সোপ রাখুন। রাস্তাঘাটে কখনো শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। অপরিষ্কার শৌচাগার থেকেও প্রচুর ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়া শরীরে বাসা বাঁধে। নিজেকে পরিষ্কার রাখা অসুখ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়।
চেষ্টা করুন ফলের খোসা ছাড়িয়ে খেতে। বায়ুবাহিত নানা ভাইরাস ও ব্যাক্টিরিয়ার প্রকোপও এসময় বাড়ে। ফলের বাইরের ত্বকেও বাসা বাঁধে সেসব।
যতবার খাবেন ততবারই হাত ধুয়ে নিন। বাইরের রোগ-জীবাণুর সিংহ ভাগ হাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। কম মশলাদার, হালকা রান্না খাওয়া সব সময়ই উপকারী।
রাজশাহীর সময়/এইচ