বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সহকারী জজ নিয়োগের চুড়ান্ত ফলে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে সুমাইয়া নাসরিন শামা। শামা বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজনীন খাতুন ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক (অব.) প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। গত বৃহস্পতিবার তার চুড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়।
শামার জন্ম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামে। স্থানীয় আর এন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর লক্ষীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
সেখানে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের জেএসসিতে জিপিএ-৫ এবং উপজেলা চ্যাম্পিয়নসহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং একই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। সেখানে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের অনার্স ফাইনালে সে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সুমাইয়া নাসরীন শামা তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার এ ফলের জন্য পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। সত্যি বললে আমি প্রথম হবো এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম এলেই হবে। আমার কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। আমি বড় হয়ে এই হবো বা ওই হবো। সময় যখন যা ডিমান্ড করবে, তখন সেটাই করবো।’ তবে যেহেতু বিচারকের লাইনে এলাম তাই সব সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো। বিচার বঞ্চিতদের পাশে দাড়িয়ে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকবে আমার সব সময়।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত পড়া লেখার বিকল্প নাই। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। তিনি আগামীর পথ চলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মা নাজনীন খাতুন এবং বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা খুশি। সব চাপের উর্দ্ধে থেকে ন্যায় বিচার করবে এটাই প্রত্যাশা।
রাজশাহীর সময়/এইচ