নাটোরের লালপুর উপজেলার রাকসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওয়ালীউল্লাহ নামের এক শিক্ষকের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্ত্রী। বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে ও স্ত্রীকে শারিরিক নির্যাতন সহ যৌতুক দাবি করার অভিযোগে মামলায় ওই শিক্ষক বর্তমানে জেল হাজতে থাকলেও তার আত্মীয় স্বজনরা নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুমিতা সুলতানা নামের ওই গৃহবধু। ওয়ালীউল্লাহ উপজেলার মাঝগ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার টিটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সুমিতা সুলতানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৪/১৫ বছর আগে সম্পর্ক করে ওয়ালীউল্লাহ এর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর জামাই থেকে পড়াশুনা শেষ করে ওয়ালীউল্লাহ রাকসা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকুরী নেন। সুমিতা চাকুরি পান স্বাস্থ্যকর্মি পদে। ওয়ালীউল্লাহ ঈশ্বরদী উপজেলার দাদাপুর গ্রামের এক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে বিয়ে করে। এর প্রতিবাদ করলে সুমিতার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে এবং ১৬ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ১ এপ্রিল তাকে মারধর করে আহত করলে লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সুমিতার নামে ব্যাংক ঋণের কারণে প্রতি মাসের বেতনের টাকা ব্যাংক কর্তন করে নেয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকও হয়েছে।
এঘটনায় লালপুর থানায় মামলা হলে ১৫ এপ্রিল ওয়ালীউল্লাহকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর থেকে ওয়ালীউল্লাহর আত্মীয় স্বজনরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। ফলে তিনি দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
এব্যাপরে লালপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।