হাতছাড়া হয়ে গেল মারিউপোল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষভাগে রুশ অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর দখলের চেষ্টা করছিল রাশিয়া। তবে দখল নয়, এদিন মারিউপোলকে ‘স্বাধীন’ হিসাবেই ঘোষণা করা হল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই ঘোষণা করেন যে মারিউপোলকে সফলভাবে স্বাধীন করতে পেরেছে রাশিয়া।
এই কাজে তারা গর্বিত। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মারিউপোলে যে স্টিল প্ল্যান্টটি রয়েছে, তা দখল নেওয়ার বদলে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই ইউক্রেন সরকারের তরফে জানানো হয়, মারিউপোলে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। ইতিমধ্যেই চারটি বাসে করে মারিউপোলের বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়েছে। মানবিক করিডরের মাধ্যমে গতকাল চারটি উদ্ধারকারী বাস মারিউপোল থেকে সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে। ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরানা ভেরেসচুক সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বর্তমানে মারিউপোলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন পর্যায়ে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তেই পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। গতকালই বাসে করে অধিকাংশ নাগরিকদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে। আজ বাকি মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের উদ্ধার করে আনা হবে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিগত প্রায় দুই মাস ধরেই ইউক্রেনের এই বন্দর শহর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া। কিন্তু একটানা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তবে এদিন ভেঙে গেল সেই প্রতিরোধ। যুদ্ধ শুরুর আগেই যেভাবে রাশিয়া দোনেত্স্ক সহ দুটি প্রদেশকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করেছিল, একইভাবে এদিন ইউক্রেনের মারিউপোলকেও স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
গতকালই রুশ বাহিনীর তরফে নির্দেশিকা জারি করে মারিউপোলের বাসিন্দাদের বলা হয় যে, তারা রাস্তায় বের হলে যেন জামায় সাদা রিবন লাগান। নাহলে তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের স্নাইপারদের আলাদা করা যাবে না।
উল্লেখ্য, আগেই ডনবাস দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। এদিন মারিউপোলও তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় মস্কোর হাতেই সম্পূর্ণ ক্রিমেন উপদ্বীপের উপরই নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ