কুষ্টিয়া পৌর শহরের হাউজিংয়ে এক প্রকৌশলীর স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে হাউজিং ডি ব্লকের বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত শেফালী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দোতলায় থাকি। আমার স্ত্রী শেফালী সেখানেই ছিল। চারতলায় নির্মাণকাজ চলছে। আমি মিস্ত্রীদের সঙ্গে সেখানেই ছিলাম। বাসায় নেমে দেখি আমার স্ত্রী পড়ে আছে। তার শাড়ি ও শরীর পোড়া। আছে আঘাতের চিহ্নও। ঘরে রক্ত ও ছাই পড়ে আছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।’
আনন্দ কুমার আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় ডাকাতি করতে এসে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তার গলা ও চোখের ওপরে জখম আছে।’
এদিকে শেফালীর ভাই দীপক বিশ্বাসের দাবি, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আগুনে শরীরের সামান্য অংশ পুড়েছে। এতে একজনের মৃত্যু হতে পারে না। এর মধ্যে কোনো রহস্য আছে। এ রহস্য বের করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানাই।’
ঘটনাস্থলের পাশেই সিআইডির কুষ্টিয়া অফিস। তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।
সিআইডির পরিদর্শক স্বপন কুমার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঝিনাইদহ থেকে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম বলেন, পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ