প্রায় ৯০ ভাগ জলীয় হওয়ায় গরমকালে এই ফল অতুলনীয়। কিন্তু আমরা সাধারণত খোসা ও বীজ ফেলে দিয়ে তরমুজের রসাল শাঁসটুকুই খাই। সেখানেই বিসর্জন দিয়ে দিই এর খাদ্যগুণের অনেকটাই। অনেক পরিবারেই তরমুজের খোসার তরকারি খাওয়া হয়। কিন্তু সাধারণত এই খাবার রয়ে গিয়েছে নিম্নবিত্তের খাদ্যতালিকাতেই।
উচ্চবিত্তদের পছন্দের তালিকায় এই পদ ব্রাত্য। আসুন, দেখে নিন তরমুজের খোসার গুণ। লাইকোপেন ও অন্যান্য ফ্ল্যাভনয়েড থাকার ফলে এই ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এর ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তরমুজের খোসায় প্রচুর পটাশিয়াম আছে। ফলে ফলের শাঁসের মতো এর খোসাও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। পাশাপাশি, এর ফলে কমে হৃদরোগের আশঙ্কাও।
ভিটামিন সি-এর গুরুত্বপূর্ণ উত্স হল তরমুজের খোসা। তাই এই খাবার ডায়েটে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তরমুজের খোসায় এক দিকে প্রচুর ফাইবার। অন্যদিকে এতে ক্যালরি খুব কম।
তাই যাঁরা ডায়েটি করছেন, তাঁরা অবশ্যই এই খাবার ডায়েটে রাখুন। তরমুজের খোসায় আছে প্রাকৃতিক শর্করা। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বাদের মর্নিং সিকনেস সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদান। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এ সময়ে ফুলে যায়।
তরমুজের খোসার পটাশিয়াম সেই সমস্যাও দূর করে। যৌন সম্পর্ক বিঘ্নিত হলে বিঘ্নিত হয় দাম্পত্য বা প্রেম। কিন্তু জীবনে স্ট্রেস বেড়ে যাওয়ায় লিবিডো কমে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেক পুরুষই। লিবিডো বৃদ্ধির জন্য ডায়েটে রাখুন তরমুজের খোসা।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন-সহ একাধিক সমস্যা দূর করে এই উপাদান। ভায়াগ্রা না হলেও যৌনক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর তরমুজের খোসা। কীভাবে খাবেন তরমুজের খোসা? নিরামিষ তরকারি রান্না করে খেতে পারেন।
অনেকটা পেঁপের মতো স্বাদ পাবেন। চাইলে মেশাতে পারেন কুচো চিংড়িও। সাহেবি কায়দা পছন্দ হলে তৈরি করুন জ্যাম, জেলি, স্মুদি বা স্যালাড। প্রত্যেকটির উপকরণ হতে পারে তরমুজের খোসা।
রাজশাহীর সময়/এএইচ