লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রবেশ পথে পণ্য পরিবহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল থেকে মজুচৌধুরী হাট মহাসড়ক ভোলা বরিশাল ও ঢাকা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহা সড়ক তেরবেকী কাছারি বাড়ি এলাকায়, টোলঘর বসিয়ে আদায় করা হচ্ছে এই চাঁদা।
এতে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবসায়ীরা। তবে ইজারাদার বলছে, এই টা পৌর টোল।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বা সামান্য দেরি করলে নানা হয়রানির শিকার হতেন ব্যবসায়ী ও পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের। দিন দিন টোল আদায়কারীদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লক্ষ্মীপুর থেকে মুখ ফিরেয়ে নিতে শুরু করেন আশপাশ ও দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।
এতে লক্ষ্মীপুরের বদনাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাস টার্মিনাল রয়েছে, সেগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাক টার্মিনাল টোল দিয়ে থাকে। যেখানে টার্মিনাল নেই সেখানে টোলের নামে চাঁদা তোলা অবৈধ। পৌর টোল যদি নিতে হয় সেটি পৌরসভার নিজস্ব রাস্তায় প্রবেশের পর নিতে পারবে, কিন্তু মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে টাকা তুলতে পারেনা।
এই বিষয়টি জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম বলেন, পৌর প্রবেশ পথে গাড়ি থেকে টোল আদায়ের জন্য কোন বাঁধা নেই তবে ভোলা বরিশাল থেকে গাড়ি থেকে টোল আদায় হবে না যদি কেউ তা করে থাকে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
রাজশাহীর সময়/এএইচ