ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্) এর দায়িত্ব থেকে শিক্ষক ডা. রফিকুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ বিভাগের মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করতেন সিরাজগঞ্জ ম্যাটসের হোস্টেল সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার কাম শিক্ষক ডা. কাজী রফিকুল আলম। তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হলে ছাত্রীদের বিভিন্ন কায়দায় যৌন হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় করতেন। এসব ঘটনার প্রতিকার না পেয়ে অনেকেই প্রতিষ্ঠান ছেড়েও চলে গেছেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ একজন নারী হয়েও বদমেজাজি ওই শিক্ষকের ভয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে সাহস পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ওই শিক্ষকের যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন টাঙ্গাইলের এক ছাত্রী।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন জানান, ঘটনা সত্য হলে তা আড়াল করার সুযোগ নেই। ইতি মধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রফিকুল আলমকে ম্যাটস'র বিভাগীয় সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ