সৌদি পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় এনে ধর্ষণ


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 16-04-2022

সৌদি পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় এনে ধর্ষণ

সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় এনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানব পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী মোবাইল ফোনে র‌্যাবের সহায়তা চান। অভিযোগ পেয়ে গত বুধবার রাতে ঢাকার রামপুরা থেকে ওই নারীকে উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, জাল ভিসা ও টিকিট, জাল ভিসা ও টিকিট তৈরির জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটার উদ্ধার করা 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মানব পাচার ও প্রতারক চক্রের মূল হোতা কামরুল আহম্মেদ (৪২), তার সহযোগী মো. খালেদ মাসুদ হেলাল (৩৬), তোফায়েল আহম্মেদ (৩৮) ও মো. জামাল (৪২)।

র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তোফায়েল আহম্মেদ ও ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি একই এলাকায়। তিনি ওই নারীকে সৌদি আরব পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ওই নারীকে বলেন, সৌদি আরব যেতে হলে আরবি ভাষা শিখতে ঢাকায় যেতে হবে। পরে মৌলভীবাজার থেকে ঢাকার রামপুরায় চক্রের আরেক সদস্য কামরুল আহম্মেদের বাসায় এনে তোফায়েল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তোফায়েলসহ চারজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার চারজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, তাদের জনশক্তি রফতানির কোনো লাইসেন্স নেই। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে জনশক্তি রফতানির নামে অবৈধভাবে ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে লোক পাঠিয়ে আসছে। এ ছাড়াও উক্ত চক্র মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে জনশক্তি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু বেকার যুবক-যুবতিদের কাছ থেকে ৫-৭ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া ভিসা এবং ভুয়া টিকিট ধরিয়ে দেয়। ভুক্তভোগীরা ওই ভিসা ও টিকিট নিয়ে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা এবং টিকিট জাল হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেন।

এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলে আসামিরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে বাসার ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলে। এভাবে গত ২ বছরে আসামিরা আটবার তাদের বাসার ঠিকানা পরিবর্তন করে। গত ৫ বছরে তারা অবৈধভাবে শতাধিক লোককে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। যারা বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চক্রটি শতাধিক লোককে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া ভিসা ও ভুয়া টিকিট সরবরাহ করে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

রাজশাহীর সময় / এম আর


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]