হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে গিয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আর সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হল ধর্ষিতা নাবালিকার নাম। প্রকাশ্যে নিয়ম ভেঙে এই নামটি নিয়ে এসেছেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ রেখা বর্মা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এমনটা করা যায় না।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে আসেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। সেখানেই হাঁসখালির নির্যাতিতার নাম বলে ফেলেন রেখা বর্মা। এমনকী পরে তাঁকে এই কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি খানিকক্ষণ চুপ করে থাকেন। তিনি অবশ্য জানান, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না। সূত্রের খবর, আগেই মৃত নাবালিকার মায়ের ছবি দিয়ে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছিল বিজেপির ওয়েবসাইটে।
এদিন ওই কমিটির চার সদস্য হাঁসখালি গিয়ে মৃতার বাবা–মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। রেখা বর্মা ছাড়াও তামিলনাড়ুর বিজেপি বিধায়ক ভানাথি শ্রীনিবাসন, তামিল অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর এবং ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী ওই দলে ছিলেন। বিজেপি নেত্রীর এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। জীবিত বা মৃত, কোনও ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করা যায় না। রেখা বর্মা তা লঙ্ঘন করেছেন বলে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে রেখা বর্মাকে শোকজ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন চন্দ্রিমা? এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনও ধর্ষিতার নাম–পরিচয় কখনই বলা যায় না। বিজেপি কী করেছে, তা তারাই বলতে পারবে।’ এই ঘটনায় এখন বিপাকে পড়েছেন বিজেপি নেত্রী। আইন অনুযায়ী, এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা পর্যন্ত করা যেতে পারে।
রাজশাহীর সময় / এম আর