রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রধান শাখায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের রাজনৈতিক মতাদর্শী দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দুটি দলের মতাদর্শী কর্মকর্তার মধ্যে হাতাহাতির এই ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আউট সোর্সিং সিকিউরিটি গার্ডদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী কর্মকর্তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাংকের বিবাদমান দুপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে কর্মকর্তাদের হাতাহাতির ঘটনা কোনো অবস্থাতেই ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নাই।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীর অফিস পাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচার ঝড়।সচেতন মহল এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।
যাতে পরবর্তীতে যেনো কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।
সূত্র জানায়, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্বরত সিউকিউরিটি গার্ডদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। এঘটনায় একটি পক্ষকে নিয়ে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সিনিয়র অফিস ইব্রাহিম হোসেন হিরা প্রিন্সিপাল শাখায় যান। এর পর একটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী প্রিন্সিপাল অফিস মেসকাতুল আনোয়ারের গ্রুপ সেটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন।এনিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সিনিয়র অফিস ইব্রাহিম হোসেন হিরা আহত হয়েছেন। তিনি মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাকাবের মহাব্যবস্থাপক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ। এর পরও দুটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য পৃথকভাবে জড়ো হয়ে রাকাবের প্রধান কার্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রাকাবের মহাব্যবস্থাপক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে রাকাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।