বেছে বেছে ধনী পুরুষদের বিয়ে করতেন। বিয়ের কিছু দিন পরেই বিচ্ছেদ, মোটা অঙ্কের খোরপোশ। তার পর আবার বিয়ে! এ ভাবেই চলছিল ১০ বছর। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন উত্তরাখণ্ডের সুন্দরী সিমা!
সম্প্রতি ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে জয়পুর পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমা ওরফে নিক্কির কীর্তিকলাপ দেখে তাঁকে ‘লুটেরা বৌ’ নাম দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। জানা গেছে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘বিয়ে করা’ই ছিল সীমার একমাত্র উপার্জনের রাস্তা! ছক কষে বেছে বেছে ধনী ব্যবসায়ী কিংবা চাকুরিজীবীদের বিয়ে করতেন সীমা। বেশির ভাগ সময়েই তাঁরা হতেন বিবাহবিচ্ছিন্ন কিংবা বিপত্নীক। ২০১৩ সালে প্রথম ‘শিকারকে জালে ফাঁসান ওই তরুণী। আগরার এক ধনী ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। যদিও সে বিয়ে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা ঠুকে দেন তরুণী। মামলার নিষ্পত্তির জন্য স্বামীর থেকে আদায় করেন ৭৫ লক্ষ টাকা।
২০১৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে। এ বার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত গুরুগ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেন সীমা। আবারও বছরখানেকের মধ্যেই বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের সময় মেলে ১০ লক্ষ টাকা! এর পর ২০২৩ সালে ফের একই ধাঁচে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তরুণী। তবে এ বার আর বিচ্ছেদ নয়, বিয়ের দিন কয়েক পরেই শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং নগদ প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান সীমা। শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নেমে সীমা ওরফে নিক্কির খোঁজ পায় পুলিশ। তখনই প্রকাশ্যে আসে তাঁর কীর্তি!
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিয়ের ওয়েবসাইট থেকে ‘শিকার’দের বাছতেন সুন্দরী ওই তরুণী! তার পর বেছে বেছে বিপত্নীক ব্যবসায়ী বা চাকুরিজীবীদের বিয়ে করতেন। ‘স্বামী’রা আলাদা আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা হলেও সকলের ক্ষেত্রেই একটি বিষয়ে মিল ছিল, প্রত্যেকেই ছিলেন প্রচুর অর্থ ও সম্পত্তির মালিক। এই ভাবে ১০ বছরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করে ফেলেছিলেন সীমা! এ বার সেই ‘লুটেরা বৌ’কেই ধরল পুলিশ।