রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কনস্টেবলকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি ! গ্রেফতার -১


নিজস্ব প্রতিবেদক : , আপডেট করা হয়েছে : 21-12-2024

রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কনস্টেবলকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি ! গ্রেফতার -১

রাজশাহীতে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পাশাপাশি সানোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এ ঘটনার মূলহোতা মোঃ মিলন (৩৫) পালিয়ে গেছে।

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, মিলন সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে। এরপর থেকেই কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করার জন্য ওঁৎ পেতে ছিলো।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে জনিকে পেয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আমরা জনিকে উদ্ধার করেছি।

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। 

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত মিলনের বাড়ি নগরীর হড়গ্রাম এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলো মিলন। সেদিন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলা লিখেছিলেন জনি। সেই রাগেই জনিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছে মিলন।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি পরিবার নিয়ে নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকায় থাকেন। থানায় ডিউটি শেষে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছিলেন। টুলটুলিপাড়া মোড়ে মিলনসহ পাঁচ-ছয়জন তার গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় জনিকে। এ সময় তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

মিলন ওই কনস্টেবলকে বলেন, ওই মামলায় গ্রেফতারের পর জামিন পেতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা এখন দিতে হবে। প্রাণহানির ভয়ে কনস্টেবল জনি তখন তার এক বন্ধুকে ফোন করেন টাকার জন্য। ওই বন্ধু বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর জনির বাবা বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় মূলহোতা মিলন-সহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি হিসেবে মিলন ও সানোয়ার-সহ চারজনের নাম উল্লেখ আছে। নাম না জানা আসামি আছেন আরো ৬/৭ জন। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সানোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা মিলন-সহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]