পাবনার চাটমোহরে দুই দিনে পৃথক এলাকা থেকে দুইজন শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ও শনিবার উপজেলার ছাইকোলা ও ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই পরিবারেরই দাবি, তারা ‘অভিমানে আত্মহত্যা’ করেছে। আর পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে। এ দুটি ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে ওই গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে চাটমোহর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া কল্পনা রানীর শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা জানান, কল্পনা নিজ ঘরে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন; কিন্তু তার ছয় বছর বয়সি চাচাতো ভাই তাকে বারবার বিরক্ত করছিল।
পরে কল্পনা তার চাচাতো ভাইকে ঘর থেকে বের করে দিলে চাচির সঙ্গে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে কল্পনার মা তাকে বকাবকি করলে অভিমানে নিজের শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অন্যদিকে শনিবার সকালে উপজেলার ছাইকোলা উত্তরপাড়া গ্রামের সামাউন ইসলামের ছেলে আলী মরতুজা নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীরও ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় তার শোবার ঘর থেকে।
স্বজনরা জানান, আলী মরতুজা পড়ালেখার চেয়ে খেলাধুলায় মনোযোগী বেশি হওয়ায় মা-বাবা তাকে শুক্রবার রাতে বকাঝকা করেন। এরপর রাতের খাবার না খেয়ে অভিমানে শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জরুল আলম বলেন, পুথক দুই এলাকা থেকে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমুত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।