নওগাঁর রাণীনগরে রেল লাইন থেকে কোহেলী আক্তার (১০) নামে এক শিশু এবং বাক প্রতিবন্ধী কোরবান আলী (৩২) নামে বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার চকের ব্রীজ এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা বলছেন,পারিবারিক দ্বন্দ্বের জ্বের ধরে হয়তো বাবা মেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কোরবান আলী উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর মৎস্যজীবি পাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
কোরবান আলীর ভাতিজা আব্দুল মমিন জানান,পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে কোরবান আলীর স্ত্রী রোববার বাবার বাড়ীতে চলে যায়। এর পর থেকে চাচা কোরবান আলী হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে পরেন। সোমবার সকালে মেয়ে কোহেলীকে সাথে নিয়ে রেল গেট এলাকায় নাস্তা করার জন্য বের হয়ে যায়। এর পর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খবর পাই চকের ব্রীজ এলাকায় তাদের মরদেহ পরে আছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাইফুল ইসলাম জানান,নিহত কোরবান আলী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাঝে মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। আমরা স্থানীয় মাতবর প্রধানরা বেশ কয়েকবার বসে দ্বন্দ্ব নিরসন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোববারের দ্বন্দ্বের পর কোরবান আলীর স্ত্রী ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। হয়তো পারিবারিক হতাশার কারনেই কোরবান আলী মেয়ে কোহেলীকে সাথে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন,রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টারের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটাস্থল থেকে বাবা-মেয়ের দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন,চিলাহাটী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে হয়তো ঝাঁপ দেয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেও বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।