সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর চারঘাটে ও নিত্যপন্যর দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে বাজার তদারকি না থাকায় যে যার ইচ্ছে মত ক্রয় বিক্রয় করছে।
রোববার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম চড়া বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে অধিকাংশ সবজিই ৮০থেকে ১০০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও কাঁচা মরিচ পিয়াজের দাম একটু কম হলেও অনান্য সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া বিশেষ করে আলু,ফুলকপি, শিম।
বিভিন্ন ধরনের মাছ একটু দাম কম হলেও ডিমের দাম ব্রয়লার মুরগির দাম বেশি। বাজার ভেদে করলা ১০০-১২০ টাকা কাকরোল ৮০-১০০ টাকা ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা শিম ১০০-১২০ টাকা বেগুন ৮০-৯০ টাকা আলু ৭৫-৮০ টাকা বিক্রি করছে। তবে সবজির মধ্য সব চাইতে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা। এদিকে তিন সপ্তাহের আগে কাঁচা মরিচ বিক্রয় হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি বর্তমানে কাঁচা মরিচ এর দাম খুরচা বাজারে ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাঝখানে কাঁচা মরিচ ৩২০-৪০০ টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হয়েছে পিয়াজের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমেছে আদার দাম তুলনামূলক কমদামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আলু রসুনের দাম অনেক বাড়তি।
চারঘাট বাজারে সবজি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, বাজারে সবজির চাহিদা তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে, সবজির দাম চড়া থাকার কারনে আমাদের লাভ খুব কম হচ্ছে।
ক্রেতা জহুরুল ইসলাম জানান, বাজার মনিটরিং না থাকায় বাজারে যে যার ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে আমারা সাধারণ মানুষ ক্রয়ক্ষমতার উর্দ্ধে চলে গেছে। এদিকে হঠাৎ করে আলু,ডিম,মুরগির দাম বেড়ে যাওয়াই অস্বস্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চারঘাট বাজার, সারদা বাজার,নন্দনগাছী বাজার,ইউসুফপুর বাজার,কাঁকড়া মারি বাজার,বাঁকড়া, বুধিরহাট কাঁচা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের নিত্যপন্যর অতিরিক্ত চড়া দামের কারনে ক্রয়ক্ষমতা নাগালের বাহিরে সয়াবিন তেল খোলা ২০০-২১০ টাকা, পাম ওয়েল ১৮০-১৯০ টাকা, চাল ৬৫-৭৫ টাকা বিক্রি করছে বিক্রেতারা।অন্তবর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেধে দিয়েছিল সে হিসেবে প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা,সোনালী ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা কিন্তু সরকারের নির্ধারন করা দামে কোনটিই পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান,আলুর দাম বাড়তি আমার মনে হয় জালানি ও পরিবহন খরচের কারনে দাম বাড়তি এবং কিছু অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট এর কারনে নিত্যপন্যর দাম বাড়তি হচ্ছে।
নিত্যপন্যর দামের উর্দ্ধগতির দামের মধ্যেই বাজার মনিটরিং করার জন্য জোর দাবি করেছেন এলাকার ক্রেতা সাধারণ। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা জানান,যোগান ও চাহিদার কারনে দামের তারতম্য হচ্ছে, যেহেতু আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি এবং ইতি মধ্যে সহকারী কমিশনার ভুমি আরিফ হোসেন চারঘাট বাজার, নন্দনগাছী বাজারে ভ্রামমান আদালত চালু করে জরিমানা করেছেন।আলুর দামের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যেহেতু চারঘাট উপজেলাতে আলুর হিমাগার না থাকার কারণে কিছুই করতে পারছিনা।তবে নিয়মিত বাজার তদারকি চলছে।