ডিমলায় ঘুষের টাকা না পেয়ে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে ডিমলা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
আহতদের ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের বাসিন্দার মৃত্যু রোস্তম খানের ছেলে রহিম খান ওয়ারিশ সূত্রে পাঁচ শতক জমি জমুদ্দির চৌপতি আলম তেলপাম্প সংলগ্ন প্রাপ্ত হয়ে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে।
বসতবাড়ি নির্মাণের পর এলাকার প্রভাবশালী মৃত দুলু মিয়ার পুত্র শাহীন ও তার ভায়েরা রশিদুল ইসলাম দলিল মূলে ঐ জমিটির মালিকানা দাবি করে আসছিল ফলে শাহিন, রশিদুলও রহিম খানের মধ্যে জমিটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের একপর্যায়ে শাহীন ইসলাম ওরশিদুল ইসলাম বসত বাড়িটি জবর দখলের চেষ্টায় হুমকিও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছিল। রহিম খান নিরুপায় হয়ে নীলফামারী আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নম্বর ৫১১ ও ১১৮,। মামলা দায়ের করার পর হতে প্রতিপক্ষ রশিদুল ইসলাম ও শাহিন ইসলাম বসতবাড়ি জবর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
প্রতিপক্ষরা ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে এসআই নুর ইসলাম জমিটি তাদের দখলে নিয়ে দিবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়।
রহিম খানের ছেলে লিটন খান অভিযোগ করেন, ডিমলা থানার এস আই নুর ইসলাম গত সাত আট দিন পূর্বে আমাকে ডেকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। নইলে বসত বাড়িটি ছেড়ে দিতে হবে । এসআই নুর ইসলামের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্ষেপে উঠেন এসআই নূর ইসলাম। এরাই একপর্যায়ে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায়এসআই নুর ইসলামের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের পুলিশেরএকটি টিম রহিম খানের বসতবাড়িতে গিয়ে রহিম খানকে পরিবার নিয়ে বসতবাড়ি হইতে চলে যেতে বলেন নইলে গ্রেফতার করে থানা নেয়া হবে।
এ সময় এসআই নূর ইসলাম ও রহিম খানের সাথে বাক বিতন্ডা বাজে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সাথে রহিম খানের পরিবারের ধস্তাধস্তি শুরু হয় এতে রহিম খানের পুত্র লিটন খান (৩০) তার স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৮) পুত্রবধূ জেসমিন আক্তার (২৫) আহত হন এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শুক্রবার রাতেই আহত ওই তিনজনকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত লিটন খান জানান, এসআই নুর ইসলাম আমাকে হুমকি দিচ্ছে দ্রুত বসতবাড়ি হতে চলে যাও নইলে মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হবে। চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিব।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার তদন্ত ওসি আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনি নাই তবে এস আই নুর ইসলাম আমাকে বলেছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তার কাছে একটি অভিযোগ রয়েছে সেটা তদন্তের জন্য যাবে। এসআই নুর ইসলামকে ডেকে ঘটনার বিষয়ে শুনবো শুনে ব্যবস্থা নেব।
অভিযুক্ত এসআই নুর ইসলামের কাছে ঘটনায় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তাই ঘটনা তদন্তের জন্য আমি সহ ৬-৭জন কে সঙ্গে নিয়ে ডিমলা জমদির চৌপতি আলম তেলপাম্প সংলগ্ন রহিম খানের বাড়িতে যাই তাদেরকে বসতবাড়ি হইতে চলে যাইতে বলি কাগজপত্র দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলি তবে মারপিটের ঘটনা ঘটে নাই। তিনি আরো বলেন, রহিম খানের ছেলে লিটন খান আমাদের উপস্থিতিতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।