একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে জঙ্গলে নিয়ে দিয়ে যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে নির্যাতন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 19-11-2024

একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে জঙ্গলে নিয়ে দিয়ে যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে নির্যাতন

জঙ্গলে তুলে নিয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আলিপুরদুয়ারে। তবে শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, ছাত্রীর ওপর চরম নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে দিয়ে চলে নির্যাতন। নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেছেন, 'আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।

আমরা মামলা রুজু করেছিল। তদন্ত চলেছে।' পুলিশ জানিয়েছে নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। নির্যতিতার পরিবার জনিয়েছে, রবিবার বিকেলে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। রাস্তা মোটের ওপর ফাঁকা ছিল। সেই সময়ই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাস্তাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ে একটি। জাতীয় সড়কে ওঠার আগেই ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে একটি জঙ্গল ঘেরা জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায়রা ফাঁকাই থাকে। রাতের বেলা সমাজবিরোধীদের আড্ডা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জনিয়েছে সেখানেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রীকে। সেখানেই যৌন নির্যাতন করা হয়। বাইকের চাবি দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়। সেই সময় নির্যাতিতা চিৎকার করে। তখনই ভয় পয়ে অত্যাচারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, নাবালিকার যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই দেখেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। তাই রাতেই অপারেশন করা হয়। রবিবার রাতেই অপারেশন করা হয়েছিল। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌরব ভট্টাচার্য বলেন, 'রবিবার রাতে নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছিল। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অপারেশন করতে হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল।'

নাবালিকার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল স্থানীয়রা। প্রাশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগে সরব হয় স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছে, তাদের অভিযোগ স্কুল লাগোয়া জঙ্গলে প্রায়ই দুষ্কৃতীরা আড্ডা দিত। সন্ধ্যের পরে সেই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারত না। স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে সেখানে মদের আসর বসত। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]