রাজশাহীর মোহনপুরে আলু উৎপাদন মৌসুম শুরুর আগেই বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় কৃষকরা দাবি করছেন, বীজ সংকট করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কারসাজি করে বীজ সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে তারা অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কৃষকরা দাবি করছেন, অতিরিক্ত দামে কিছু বীজ সংগ্রহ করা গেলেও চাহিদা মত বীজ পাচ্ছেননা তারা।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত জোগান থাকলেও বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তাদের দোকান ও গুদামে বীজ আলু রাখছেন না। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি আলুর বীজ বিক্রি হচ্ছে ২০/ ৩০ বেশি দরে। অজ্ঞাত স্থান থেকে কৃষকের কাছে বীজ আলু পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
বেশি দামে বীজ আলু বিক্রির অভিযোগ পেয়ে মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় নিশ্চিত করতে জোরেসোরে মাঠে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার আলু বীজ ডিলারদের সতর্কসহ নির্ধারিত মূল্যে সতর্কীকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা।
সতর্কীকরণ সভায় সরকার ও কোম্পানি নির্ধারিত মূল্য আলু বীজ বিক্রয় করা, প্রান্তিক কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বীজ বিক্রয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বীজ সংরক্ষণ করলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলমান থাকবে। বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বীজ ডিলার কোন সিন্ডিকেট করলে ইউএনও, কৃষি অফিস ও মোহনপুর থানাকে অভিযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিএডিসি’র ডিডি (সীড মার্কেটিং) কেএম গোলাম সারোয়ার, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, বিএডিসি জয়েন ডিরেক্টর মোঃ ফজলে রাব্বি, উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আঃ মান্নান, এসএ পিপিও মোঃ মোস্তফা কামাল, ব্র্যাক টিএসও মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্র্যাক ডিলার মেসার্স মাহি বীজ ভান্ডার মতিউর রহমান, কেশরহাট মেসার্স আজিজ সীড আকতার হোসেন, মৌগাছি বাজার মেসার্স বাবা ট্রেডার্স ক্বারী মোঃ রাশেদুল ইসলাম, বিএডিসি ডিলার ধোপাঘাটা বাজার মেসার্স চাষিখুশি বীজ বিতান সাইফুল ইসলামসহ বীজ ডিলারগন।