রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলছে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। বেলা বাড়তেই উভয় কেন্দ্র থেকেই বেশকিছু অভিযোগ আসছে। বালিগঞ্জ ও আসানসেলের একাধিক বুথে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যা খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। বারাবনির ২৮৩/২৩৪ নম্বর বুথে এক জনের হয়ে অন্য জোনের ভোট দেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে কমিন। ধুন্ধুমার বারাবনিতে। প্রিসাইডিং অফিসার নিয়ে শুনেই ১৭৪ নম্বর বুথে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে দেখেই উত্তেজনা ছড়ায়। জড়ো হওয়া লোকেরা বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করে। রক্তক্ত হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী।
কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আসানসোল ও বালিগঞ্জকে। এবারে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। মোট ৩০০টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ২৩টি স্পর্শকাতর বুথ। প্রতিটি বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি বুথে ও বুথের বাইরে ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথে রয়েছে ২ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আসালসোলে ভোটার সংখ্যা ১৭ লক্ষের বেশি। ২,১০৯টি বুথে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। নিরাপত্তায় রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে প্রায় ৫ হাজার রাজ্য পুলিশও। ৫ হাজার বুথে হবে ওয়েব কাস্টিং ও পর্যবেক্ষক রয়েছেন ৫ জন।
ফুল বদলে আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ফলে ভোট হচ্ছে ওই কেন্দ্রে। অন্যদিকে বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় গত বছর কালীপুজোর দিন প্রয়াত হয়েছেন। ফলে ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি এতদিন ফাঁকা পড়েছিল। মঙ্গলবার বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন চলছে। আসানসোলে এর আগে লোকসভায় দুবারই জিতেছিল বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। ফলে সেটি গেরুয়া গড় বলেই পরিচিত। এবার কী আসানসোলে পদ্ম ফুটবে? নাকি বিজেপির থেকে শিল্পাঞ্জলের রাশ যাবে জোড়া-ফুলের হাতে, সেটাই দেখার। অন্যদিকে বালিগঞ্জে জোড়া-ফুলের বাবুল ব্যবধান বাড়াতে পারেন কিনা সেটাই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের।
রাজশাহীর সময় / এম আর