অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারিয়েছেন। কিন্তু, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী আসনে বসতে রাজি নন কাপ্তান ইমরান খান। তার কারণও জানিয়ে দিলেন। তিনি চোরেদের সঙ্গে বসবেন না। তাই, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
দলের অফিশিয়াল টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তায় সোমবার সকালে ইমরান বলেন, “যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৬০০ কোটি এবং ৮০০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা রয়েছে। ওই ব্যক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কিংবা বেছে নেওয়া, দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমান আর কিছু হয় না। আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করছি।”
জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পিটিআইয়ের সদস্য মুরাদ সইদ প্রথম স্পিকারের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে ইমরানও পদত্যাগ করেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বসা মানে শেহবাজ় শরিফের ক্ষমতা বাড়ানো। তাই, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় দলের বৈঠকে তাঁর এই প্রস্তাব ইমরান খান সমর্থন করেছেন বলে জানান শেখ রশিদ। তিনি আরও জানান, প্রতি রবিবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন ইমরান। এবং বিদেশি চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানাবেন।
শনিবার রাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয় । অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যসংখ্যা ৩৪২। ইমরানকে গদিচ্যুত করতে প্রয়োজন ছিল ১৭২টি ভোট। তার থেকে বেশি পেয়েই ইমরানকে গদিচ্যুত করে বিরোধীরা। তবে ভোটাভুটির সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে হাজির ছিলেন না ইমরান। তাঁর দলের সদস্যরাও ওয়াকআউট করেন। আজ শেহবাজ় শরিফ পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ইমরানের পদে তিনি এলেও তাঁর জায়গায় দেখা যাবে না কাপ্তানকে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ