বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাতদিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকেই তারেক রহমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন। এর ফলে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আগামী সাতদিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা ও মহানগর কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে মিজানুর রহমান মিনু বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর ঘোষণার মাধ্যমেই দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে। আর এই আন্দোলন যখন কঠিন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়, ঠিক তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে থেকেও পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন।
অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার খুনি হাসিনা থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছিল। তারা মুক্ত হয়েছে। এখন দ্রুত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ। মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকার সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজপাড়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা শাহানুর ইসলাম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত প্রমুখ।