শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৫ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে মুচলেকা দিয়ে পার পেয়েছেন ৬ জন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান হাসপাতাল জরুরি বিভাগের ইনচার্জ (ইএমও) ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান, এর আওতায় ২৭তম বিডিএস ব্যাচের ছাত্র ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান অমিকে দুই বছর ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ২৯তম ব্যাচের শাহরিয়ার রহমান সিয়ামকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, ৩০তম ব্যাচের আশিক রেজাকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাফিউর রহমান সিয়ামকে এক বছর ইন্টার্নশীপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সাদমান সাকিব রক্তিমকে ছয় মাস ইন্টার্নশীপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৫৯তম ব্যাচের শুভ কুমার মন্ডলকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, জয়দেব কুমার সাহার দুই বছরের জন্য বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, গৌরব কুমার সাহার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, আসিফুজ্জামনের এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্ষণকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়েছে।
৬০ তম ব্যাচের নাহিদ হাসানকে দুই বছর ইন্টার্নশীপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাইদা রশিদ ত্বাহাকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মাহদিন আহমেদ খানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মিজানুর রহমানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মুক্তার আলীকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ২৯তম ব্যাচের সাবিহা আফরিন ছন্দকে তিরস্কার করা হয়েছে তবে অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে পার পান তিনি। এছাড় ৫৯তম ব্যাচরে ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজ আল আমিন, শরীফ হোসেন, সাব্বির হোসেন অভি ও শাহরিয়ার আহসান সাজিদকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করা হয়েছে।
ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় মূলত তাদেরকে এ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের সিট বাণিজ্য, র্যাগিং, শিক্ষার্থী নির্যাতন ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।