সকালের নাশতা না খেলে পড়তে পারেন নানান শারীরিক জটিলতায়। রাতে ঘুমের কারণে মোটামুটি ৬-৮ ঘণ্টার মতো সময় আমাদের পেট খালি থাকে। যে কারণে সকালে ভরপেট খেলেই কেবল দিনটি সঠিকভাবে শুরু হয়। সারা দিন শক্তি পেতে চাইলে সকালে পেটপুরে খেতে হবে।
সকালে স্বাস্থ্যকর ও ভরপুর খাবার খেলে তা শক্তি জোগানোর পাশাপাশি সারা দিনের কাজেও উৎসাহ জোগায়। তাই দিনের শুরুতে কখনোই খাবার বাদ দেবেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক সকালের খাবার ঠিকভাবে খাওয়ার সব উপকারিতা–
১. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের খাবার ঠিকভাবে খেলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে সকালের খাবার বাদ দেয়ার অভ্যাস থাকলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস পায় এবং দুপুরের খাবারের পর আবার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে ডায়াবেটিস হতে সময় লাগে না।
২. হার্টের জন্য ভালো: সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা কেবল আপনার স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, সেই সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ধমনি ব্লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে এটি আরও অনেক অসুখ ডেকে আনতে পারে যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপার টেনশন, স্থূলতা ইত্যাদি। ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে: আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তবে কোনোভাবেই সকালের খাবার বাদ দেয়া যাবে না। সকালে পেট ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা আপনাকে সারা দিন ঘনঘন ক্ষুধা লাগা থেকে দূরে রাখবে। ফলে পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না এবং অন্যান্য বেলার খাবারেও সঠিক পুষ্টি বেছে নিতে পারবেন।
৪. প্রতিদিনের পুষ্টির জোগান দেয়: সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে তা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন ও খনিজের জোগান দেয়। অন্যদিকে যারা সকালের খাবার এড়িয়ে যান, তারা এসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত থাকেন। সকালের খাবারে যদি প্রোটিন, আস্ত শস্য, ডাল, দুধ, ফল ও প্রচুর শাকসবজি রাখেন, তাহলে তা আপনার দিনটি দুর্দান্তভাবে শুরু করতে সাহায্য করবে।
৫. মস্তিষ্কের জন্য ভালো: নিয়মিত সকালের খাবার খেলে আমাদের মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করা সহজ হয়। ফলে যারা সকালের খাবার বাদ দেন, তাদের চেয়ে যারা সকালের খাবার নিয়মিত খান, তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। নিয়মিত সকালের খাবার খেলে মস্তিষ্কের উন্নতি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।