১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়


রাবি প্রতিনিধি: , আপডেট করা হয়েছে : 29-10-2024

১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়

বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর আবাসিক হলে সীট বরাদ্দের জন্য প্রণয়ন করেছেন নতুন নীতিমালা। এ নীতিমালার ছকে পড়ে ১৫ মাস গণরুমে থাকারপরও সীট পাচ্ছেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণরুমের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের কাছাকাছি বাসা, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল অনেকেই গণরুমে না থেকেই সরাসরি রুম বরাদ্দ পাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও নতুন নিয়মে সীট বরাদ্দ নিয়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের গণরুম নানা সমস্যায় জর্জরিত। ১০০টি সীটে ডাবলিং করে থাকেন ২০০ জন শিক্ষার্থী। নেই পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, পানি ও পড়াশোনা করার ব্যবস্থা। ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে নানামুখী এসব সমস্যা উপেক্ষা করে সেখানে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রায় ১৫ মাস ধরে গণরুমে অবস্থান করছেন। কিন্তু নতুন বরাদ্দে রুম না পেয়ে বিক্ষুব্ধ ও মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

কেবল বঙ্গমাতা হল নয় এ চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী আবাসিক হলের। অন্যদিকে তিনটি ছাত্র আবাসিক হলে গণরুম রয়েছে সেগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। পূর্বে রুম বরাদ্দ পাওয়া গণরুমে সীট পেয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার উপর নির্ভর করলে বর্তমানে এ নিয়ম ভেঙে দেওয়ার ফলে বিপাকে গণরুমের শিক্ষার্থী।

বঙ্গমাতা হলের গণরুমে অবস্থান করা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত আরা গীতি বলেন, "গণরুমে সমস্যার শেষ নেই। তবুও নিজের সমস্যার কারণে সব উপেক্ষা করে এখানে অনেক কষ্টে অবস্থান করছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছি। হঠাৎ করেই নতুন নিয়ম করলো। এতে শুধু রেজাল্টের ফলে গণরুমে না থেকে, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল, স্থানীয় অনেকেই সীট পাচ্ছে অথচ আমরা গরুঘরেই পড়ে আছি। হল প্রভোস্ট কথা দিয়েছেন আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিবে কিন্তু নতুন আবাসিকতার একটা তালিকা দিয়েছিল যেখানে গণরুমের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। আমরা তা ছিড়ে ফেলেছি। শুধু রেজাল্টের ভিত্তিতে আবাসিকতা দেওয়া এটা বড় বৈষম্য। যাদের রেজাল্ট ভালো না তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না? তাদের কি হলে থাকার অধিকার নেই? এ নিয়ম হাস্যকর"।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার বলেন, "নতুন নিয়ম মেনে আমি রুম বরাদ্দ দিচ্ছি। এতে নিয়মের ভিত্তিতে যারা এগিয়ে তারা সীট পাচ্ছে। গণরুমে কারা আছেন, কাদের বাসা কাছাকাছি কিংবা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়ে সীট পাচ্ছে এসব বিষয়ে বিবেচনা নতুন নিয়মে নেই। ফলে আমি চাইলেই গণরুমের কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে অক্ষম। গণরুমে মেয়েরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছে সেটা আমি জানি। দায়িত্ব নেয়ার পর সমস্যা দূর করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ করছি"।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]