নোয়াখালী-নোয়াখালী জেলা বিএনপি'র সাবেক কোষাধ্যক্ষ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাবেক সভাপতি, নোয়াখালী পৌর বিএনপি'র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মো.গোলাম মোস্তফার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (২৬ অক্টোবর)।
এ উপলক্ষে মরহুমের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া ও এতিমদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
তাঁর ছোট ছেলে কাজী রাকিব হোসেন মামুন জানিয়েছেন, নিবেদিতপ্রাণ বিএনপি নেতা কাজী গোলাম মোস্তফা রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। জীবদ্দশায় তিনি নোয়াখালী সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী হকার্স মার্কেটের সেক্রেটারি, মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি, কৃষ্ণরামপুর আল-মদিনা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা, মাইজদী সরকারি আবাসিক প্রাইমারি স্কুলের সভাপতিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা শহরে সবার অত্যন্ত পরিচিতমুখ গোলাম মোস্তফা আমৃত্যু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নিবেদিত সংগঠক। অত্যন্ত সাদাসিদে, নির্লোভ, নিরহংকার কাজী গোলাম মোস্তফা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসন থেকে চার বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মো.শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সহচর। মাইজদী পৌর বাজারে তাঁর হাতেগড়া মিলন রেডিও হাউজ ছিল মোহাম্মদ শাহজাহানের অন্যতম রাজনৈতিক আড্ডাস্থল। যেখানে বসে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতেন।মৃত্যুকালে কাজী গোলাম মোস্তফা স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়ে সহ অসংখ্য সুহৃদ শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
তাঁর বড় ছেলে কাজী সাজ্জাদ হোসেন মিলন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস'র নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।