চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় পুরুষ শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মোঃ সাদেকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সোয়া ৪টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ধর্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম (২৪), সে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সিকদারপাড়ার মোঃ ফরিদুল আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার র্যাব-7, চট্টগ্রামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, ধর্ষনের শিকার পুরুষ শিশু (১৩),চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার একটি মাদ্রাসার ছাত্র। সে গত ১ অক্টোবর ২০২৩ হতে ওই মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসাবে পড়ালেখা করে আসছিল।
চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ভিকটিমের পিতাকে মোবাইল ফোনে জানায়, তার ছেলে গুরুতর অসুস্থ এবং ডাক্তার তাকে বাড়ি নিয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর শিশুটির পিতা তার খালাতো ভাইকে ভিকটিমের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাদ্রসায় পাঠায়। সে মাদ্রাসায় গিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর অসুস্থ দেখতে পায় এবং শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম এর সহযোগিতায় ভিকটিমকে সিএনজি যোগে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর হতে মোঃ সাদেকুল ইসলাম বারবার মোবাইলে ফোন করে ভিকটিম সুস্থ হয়েছে কিনা তার পিতার নিকট তা জানতে চায়।
অসুস্থ ভিকটিম তার পরিবারকে জানায় গত ১৩ অক্টোবর ২০২৪ সাড়ে ১২টায় তাকে মোঃ সাদেকুল ইসলাম তার বিছানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজ যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের পরনের লুঙ্গি খুলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার পায়ুপথে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে যৌন মিলন করে। সাদেকুল ইসলাম ভিকটিমকে ওই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং বললে মারধর করবে বলে হুমকি প্রদান করে। উল্লেখ্য, মোঃ সাদেকুল ইসলাম পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ৮/১০ বার ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে ভিকটিম তার পরিবারকে জানায়।
ওই ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোহাম্মদ ফারুখ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় মোঃ সাদেকুল ইসলাম’কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৭, তারিখ- ২১ অক্টোবর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং-২০২০) এর ৯(১)।
ভিকটিমের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২১ অক্টোবর সোয়া ৪টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার বর্ণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সাদেকুল ইসলাম আটক করে। আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
এ ব্যপারে গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।