রাজশাহীতে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালক সিরাজুল ইসলামকে (৫৮) হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া ভোলাবাড়ি এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশা চালকের লাশ একটি কালাই খেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকতার।
তিনি বলেন, নিহত ওই অটো চালকে নাম সিরাজুল ইসলাম। তার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কাঞ্চন গ্রামে। এঘটনায় আটকৃতরা হলো- রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি পরিচয় প্রদানকারী নগরীর রানী বাজার সাগরপাড়া এলাকার নুরে ইসলাম মিলনে ছেলে শুভ (১৯), শাহমখদুম থানার ভুগরইল খবিরের মোড়ের আকবর হোসেনের ছেলে রাতুল (১৯) এবং এয়ারপোর্ট থানার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ (২২)।
ওসি জানান, রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এই তিনজন অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে। এরপর তারা সিরাজুলের অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ভাগাইলা এলাকায় গিয়ে তারা অটোরিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করে। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে লোকজন তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পরে গোদাগাড়ী থানা-পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকা-ের বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা লাশ পুতে রাখা স্থানে নিয়ে গেলে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। কলাই খেতে মাটিচাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল সিরাজুলের লাশ। এর আগে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়
নিহত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমার আব্বা শনিবার বিকাল ৫টার দিকে অটো রিকসা নিয়ে বের হয়ে অনেক রাত হয়ে গেলেও আর ফিরে না আসায় মোবাইলে ফোন দিলে ফন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আমরা খোঁজা-খুজি শুরু করি।
ওসি শাহিন আকতার জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।