নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় বাজারে অবস্থিত আল্পনা ক্লিনিকের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার দাবিতে ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) চাঁচকৈড় বাজারের নিজ বাসভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ক্লিনিক পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন। এসময় ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল মোনায়েম উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালক আলাল উদ্দিন বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর আল্পনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন সাথী নামের এক গর্ভবতী। তার শরীরে রক্তশূণ্যতার কারণে যথাযথ পরীক্ষা করে একব্যাগ রক্ত প্রদান করা হয়। তখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায় রোগী। আমরা ওই রোগীকে রক্ত প্রদান ছাড়া কোনো চিকিৎসা দেইনি। পরবর্তীতে ওই প্রসূতিকে পাশের হাজেরা ক্লিনিকে স্বজনরা ভর্তি করলে সেখানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম সাগর আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন ও চিকৎসা দেন।
তিনি আরো বলেন, হাজেরা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেল ওই গর্ভবতীকে সিজারিয়ান করাকালীন গর্ভস্থ বাচ্চা মারা যায়। তবে প্রসূতি বেঁচে আছেন। অথচ সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়- আল্পনা ক্লিনিকে ভুল রক্ত প্রদান করায় শিশুটি মারা যায়। সংবাদটি প্রকাশের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আল্পনা ক্লিনিক বন্ধ করে দেন প্রশাসন। ফলে ক্লিনিক বন্ধ থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইপূর্বক আল্পনা ক্লিনিক পরিচালনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান আলাল উদ্দিন।
এ ব্যাপারে হাজেরা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন, গর্ভের শিশুটি মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। বিষয়টি স্বজনদের জানানোর পর সিজার করে মৃত নবজাতককে বের করা হয়। আল্পনা ক্লিনিকের ভুল রক্ত প্রয়োগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব তাদের, আমাদের না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মৃত নবজাতকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রথমে নাটোর মর্গে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগে প্রেরন করেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।