কক্সবাজারে গোলতাজ বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নারীকে হত্যা করেছে মেয়ের ঘরের নাতনি জামাতা মোঃ আব্দুল্লাহ (২৮) নামের এক ব্যাক্তি।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খুটাখালীর তমতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আটক আব্দুল্লাহ (২৮) কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের, পূর্ব গোমাতলী- বার আউলিয়ার পাড়া এলাকার মৃত জাকারিয়ার ছেলে। তিনি কক্সবাজারের একটি হেফজ খানার শিক্ষক বলে জানা গেছে।
নিহত-গোলতাজ বেগম (৬৫) খুটাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব নয়াপাড়া-তমতলা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী।
দোয়ারাবাজারে টাস্কফোর্স অভিযানে ভারতীয় আপেল জব্দ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিশান শাহরিয়ার বলেন, সোমবার সাড়ে ৪টার সময় নিহত নানী শাশুড়ীর সাথে ঘাতক আব্দুল্লাহর বউ সংক্রান্ত পারিবারিক কলহ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে মেয়ের ঘরের নাতনি জামাতা আবদুল্লাহ রাগের মাথায় লোহার রড় দিয়ে গোলতাজ বেগমের মাথায় একাধিক বার আঘাত করে। পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় গোলতাজ বেগমকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘাতক আব্দুল্লাহকে পাকড়াও করে খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চকরিয়া থানার এসআই মিজানুর রহমানকে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা ঘাতক মোঃ আব্দুল্লাহ কে পাকড়াও করার পর স্বীকারোক্তি দেন , পারিবারিক মনোমালিন্যতার কারণে দুইমাস যাবৎ স্ত্রী নাইরা জান্নাত খুটাখালীতে বাপের বাড়িতে অবস্থান করে। পরে আমি নানী শাশুড়ী গোলতাজ বেগমের নাম ধরে মুঠোফোনে আমার স্ত্রীকে গালি দিই। তারা আমার ঘরের ফার্নিচার নিয়ে আসে। পরে আমি খুটাখালীতে গিয়ে নানী শাশুড়ীর সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কে জড়াই । এসময় রাগে নানী শাশুড়ীর মাথায় লোহার রড় দিয়ে তিনটি আঘাত করেছি। বেঁচে আছে কিনা জানি না।
চকরিয়া থানার (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, নানী শাশুড়ীকে মাথায় আঘাত করে খুন করার দায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিশান শাহরিয়াসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘাতক মো: আবদুল্লাহ কে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, নিহত গোলতাজ বেগম হত্যার ঘটনায় আবদুল্লাহ নামের একজনকে আটকে রাখা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।