‘অ্যানিম্যাল’ ছবির হিংস্রতা হইচই ফেলেছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ছবির নায়ক রণবীর কপূর, খলনায়ক ববি দেওল থেকে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গাকে। ছবির হিংস্রতা ছাড়াও আরও একটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। নায়ক রণবীর কপূরের সঙ্গে তৃপ্তি দিমরির ঘনিষ্ঠ দৃশ্য।
তৃপ্তি জানিয়েছেন, ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় মাত্র চার জন সেটে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ক্রমাগত সাহস জুগিয়েছেন তাঁকে। ছবি মুক্তির পর রণবীরের সঙ্গে তাঁর শয্যা দৃশ নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে রীতিমতো কান্নাকাটি করেন অভিনেত্রী।
আসলে এই সিনেমা মুক্তির পরে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন তৃপ্তি। তবে সাফল্য সামলানো যে সহজ নয় তা ভালই টের পেয়েছিলেন তৃপ্তি। ক্রমাগত সমালোচনায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তৃপ্তি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অ্যানিম্যাল মুক্তির পর টানা তিন দিন কেঁদেছি। আমি মোটেও এই সবে অভ্যস্ত ছিলাম না। কখনওই ভাবিনি যে এমন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে। লোকে খুবই খারাপ কথা বলতে শুরু করল। এই বিষয়ে যখন আমি আমার বোনের সঙ্গে কথা বলি, ও পরামর্শ দেয় এগুলোকে গ্রহণ করতে হবে। এ দিকে আমি সংবেদনশীল মানুষ, কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে নিজের খোলসের ভিতর ঢুকে পড়ি। তাই আমি ভীষণ আহত হয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কী ভাবে কাজে মন দেব।’’
যদিও তৃপ্তি জানান, সকলের নজরে আসায় বেশি বেশি কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে এবং তা তিনি উপভোগ করেছেন। পাশপাশি ‘অ্যানিম্যাল’ এর তুলনায় ‘বুলবুল’ ছবিতে ধর্ষণের দৃ্শ্যে অভিনয় করাটা অনেক বেশি কঠিন ছিল।