সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁর করা হচ্ছে কোটিকোটি টাকার বিভিন্ন মালামাল ও মাদকদ্রব্য। সেই সাথে রসুন ও মাছসহ দেশীয় নানান পন্য পাঠানো হচ্ছে ভারতে। তবে পুলিশ ও বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে চিনি, মোটর সাইকেল ও কয়লা বোঝাই ইঞ্জিনের নৌকাসহ ১জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (৭ই অক্টোবর) রাত ২টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের সুন্দরবন, লামাকাটা ও চাঁরাগাও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, রন্দু ছড়া ও কলাগাঁও এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, দীপক মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, সাইকুল মিয়া, বাবুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে ২শ বস্তা চিনি, মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ কয়লা পাচাঁর করে ৩টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে এবং নদীপথে নেত্রকানো জেলার কলমাকান্দা যাওয়ার সময় পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় কামালপুর নামকস্থান থেকে ৪০টন চোরাই কয়লা বোঝাই ১টি ইঞ্জিনের আটক করা হয়। আর অন্যান্য মালামাল নিয়ে চোরাকারবারীরা সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে রাত ১২টা থেকে আজ মঙ্গলবার (৮ই অক্টোবর) ভোর ৫টা পর্যন্ত চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা, আনন্দনগর ও রাজাই এলাকা দিয়ে ৩শ বস্তা চিনি, ৪৫০বস্তা ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করেছে একাধিক মামলার আসামী চোরাকারবারী শাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, তোতা মিয়া, বুটকন মিয়া, বুলবুল মিয়া, রফিক মিয়া, নিজাম মিয়া, লাল মিয়া, আকরাম মিয়া, সাদ্দাম মিয়া, জানু মিয়া, সাগর মিয়া ও তোতলা আজাদগং। এসবের বিনিময়ে ৫শ বস্তা রসুন ভারতে পাচাঁর করা হয়। এরআগের দিন সোমবার (৭ই অক্টোবর) একই ভাবে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে চিনি, ফুছকা ও মদ পাচাঁরের পর বিভিন্ন যানবাহন বোঝাই করে বাদাঘাট বাজার, শিমুলতলা ও কামড়াবন্দ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় সকাল ৯টায় অভিযান চালিয়ে ৩ বস্তা চিনি ও ১টি মোটর সাইকেলসহ আলামিন (২৫) নামের এক চোরাকারবারীকে আটক করে বিজিবি। পরে রাত ৮টায় হাবিলদার মিজান চোরাকারবারীদেরকে নিয়ে চাঁনপুর বাজারের পাশে মিটিং করে এবং ৩বস্তা চিনি রেখে আটককৃত মোটর সাইকেলসহ চোরাকারবারীকে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইপি সদস্য কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা এসে আমাকে জোর করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে সাবেক মেম্বার সম্্রাট ও বর্তমান মেম্বার নোয়াজ আলীর উপস্থিতে আটককৃত মোটর সাইকেলসহ আলামিনকে ছেড়ে দেয় হাবিলদার মিজান। আমি তাকে ছাড়তে নিষেধ করেছি কিন্তু তা শুনেনি,সে চোরাচালানের সাথে জড়িত। এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তাজুল ইসলাম বলেন- আমি রাতে এই ক্যাম্পে এসে যোগদান করেছি,আমি নতুন তাই এই সীমান্তের অনেক কিছুর সম্পর্কে জানি না। তবে হাবিলদার মিজানের ব্যাপারে ও এই সীমান্ত চোরাচালান বন্ধে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রহিম বলেন-আমার সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি,চোরাকারবারীদেরকে হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করছি।