বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত ভেঙে দিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।
রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী। এতে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাসের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ওপর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে তা ভেঙে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবি, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর রাজশাহী চেম্বারের বর্তমান পর্ষদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজশাহীতে থাকা ৬০ থেকে ৭০ হাজার ব্যবসায়ী তাদের ট্রেড লাইসেন্স, পণ্য বিক্রিতে ভ্যাট-ট্যাক্সের জটিলতা নিরসনসহ স্থানীয়ভাবে অর্থনীতির চাকা সচলে বিনিয়োগ বাড়াতে অপারগ হয়ে পড়েছেন। তাই নিষ্ক্রিয় এই পরিষদের ভেঙে নির্বাচন দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চেম্বার অব কমার্সগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের অনির্বাচিত, জনবিচ্ছিন্ন, অযোগ্য পরিচালনা পর্ষদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমরা রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছি। বর্তমান পরিষদের কেউ কেউ ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ার কারণে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে রাজশাহী চেম্বারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চেম্বারের নির্বাচন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রায় ২০ বছর ধরে তফসিল ঘোষণা হলেও কখনোই চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচনের সময় এলে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দেওয়া হয় না। তাই ভোটগ্রহণও হয় না। তাই এত বছর থেকে অনির্বাচিত কমিটিই দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু এবার তারা নির্বাচন চান। এজন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর তারা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মো. হুমায়ূন কবীরের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এখন তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মাহমুদ হাসান ছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার সমিতি, মাছ, মাংস, ডিম, স্বর্ণ, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি ও পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।