স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেরপুর জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হলেন আরও ৩৮ জন। শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে শেরপুর পুলিশ লাইন মিলনায়তনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এ সময় বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে কেঁদে ফেলেন চাকরি প্রার্থীরা। যাদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। ঘুষ-তদবির ছাড়াই সন্তানদের চাকরি হওয়ায় চোখের পানি ধরে রাখতে পাররেনি অভিভাবকরাও।
শেরপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ৩৮ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে এক হাজার ৩০৩ জন অনলাইনে আবেদন করেন। আবেদন ও এডমিট কার্ড উঠানো বাবাদ তাদের খরচ হয় ১২০ টাকা করে।
আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শারীরিক ও ফিটনেস পরীক্ষা শেষে বাছাই করা হয় ৩৩৭ জনকে। পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে শনিবার রাত ৮টায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয় ৩২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীকে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে আরও ১০ জনকে।
বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। অনেক অভিভাবকও সেখানে হাজির ছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কয়েক বছর আগেও পুলিশে চাকরি নিতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো। এতে দরিদ্র অসহায় মানুষের সন্তানরা যোগ্য ও মেধাবী হলেও তাদের ভাগ্যে চাকরির দেখা মিলত না। এ জন্য পুলিশ বিভাগ স্বচ্ছতার মাধমে চাকরি প্রদানের ব্যবস্থা করে। আর এতে করে সুযোগ পাচ্ছে অতিদরিদ্রদের মেধাবী সন্তানরাও। আর সাধারণ ঘরের ছেলে-মেয়েদের বিনা টাকায় চাকরি দিতে পেরে খুশি পুলিশের কর্মকর্তারাও।
টাকা নয়, যোগ্যতার মাপকাঠিতে দেওয়া হোক চাকরি। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রশংসিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকার। এমন ধারা যেন পরবর্তীতেও অব্যহ্যত থাকে এ প্রত্যাশা সবার।
রাজশাহীর সময় / এম আর