নাবালিকা মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজের জন্য মাঝেমধ্যে বাইরে যেতেন মা। সেই সুযোগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতেন বাবা। নদিয়ার নবদ্বীপ থানা এলাকার ওই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। নির্যাতিতার মা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী এবং এক সন্তান নিয়ে তাঁদের তিন জনের সংসার। কাজের সূত্রে তিনি বাড়ির বাইরে গেলে মেয়ে বাবার কাছেই থাকত। গত ৩০ অক্টোবর মেয়ে ছিল অন্য ঘরে। তিনি রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগে মেয়েকে ধর্ষণ করেন তাঁর স্বামী। অন্য দিকে, নির্যাতিতা জানিয়েছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও তার বাবা তার সঙ্গে ওই কাজ করেছে। সে বাধা দিতে গেলে খুনের হুমকিও পায়। কয়েক বার তাকে ধর্ষণ করেছে বাবা। বাবার অত্যাচারে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভয়ে ভয়ে মাকে সব কথা খুলে বলে।
নির্যাতিতার মা আবার স্বামীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, স্বামীর স্বভাব-চরিত্র ভাল ছিল না। তবে মেয়ের সঙ্গেও যে তিনি এমনটা করতে পারেন, তা কল্পনা করতে পারেননি। সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ে অসুস্থ হতেই সন্দেহ হয় তাঁর। তার পর সব জানতে পারেন। অন্য দিকে, তিনি বিষয়টি জানতেই স্বামী গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। এই ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তা কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী বলেন, ''নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলার রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।''